বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
উদযাপিত হচ্ছে উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ‘শ্মশান দিপালী’ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত, সড়ক অবরোধ-অগ্নিসংযোগ বরিশালে প্রথম দিনেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ন্যায্যমূল্যের দোকান প্র‍য়াত স্বজনদের স্বরনে কলাপাড়ায় শ্মশান দিপালী উৎসব পালিত আন্দোলন সংগ্রামে নিহতদের জন্য যুবদলের দোয়া মুনাজাত কলাপাড়ায় জাল ফেলাকে কেন্দ্র করে জেলেকে মারধর পটুয়াখালীতে সাবেক আ’লীগ ও বিএনপি করা দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগে, সংবাদ সম্মেলন কলাপাড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১১ জন শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক ৫ জন অনিয়মই যেন নিয়ম চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ইউনিয়ন বি এন পির প্রতিবাদ সমাবেশ গলাচিপায় গনআধিকার পরিষদের সমাবেশে হাজারো মানুষের ঢল কলাপাড়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে ‘এইচপিভি’ টিকা প্রদান যুবদলের ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত বাউফলে জামায়াতে ইসলামীর গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত সড়কে নিরাপত্তায় নতুন আইনের দাবি বরিশালে কলাপাড়া পৌরসভার রাজস্ব লুটে নিচ্ছে দুর্বৃত্তরা
পটুয়াখালীতে কৃষি উন্নয়ন কর্মকর্তা লেবার ফান্ডের কোটি টাকা আত্মসাৎ

পটুয়াখালীতে কৃষি উন্নয়ন কর্মকর্তা লেবার ফান্ডের কোটি টাকা আত্মসাৎ

Sharing is caring!

মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন) পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ

বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রনালয়ের আওতায় বিএডিসি পটুয়াখালী সদর উপজেলা বদরপুর ইউনিয়নের খলিসাখালী উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন ফসলের বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও সরবরাহ বৃদ্ধি করা,সেচ প্রযুক্তি উন্নয়ন, ভূ-পরিস্থ পানির সর্বউত্তম ব্যবহার,জলাবদ্ধতা দূরিকরনের মাধ্যমে সেচ দক্ষতা এবং কৃষক পর্যায় মান সম্পন্ন সরবরাহ করে থাকে।

বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রনালয়ে থেকে প্রতি বছর দিন মজুর( লেবারদের জন্য একটি মোটা অংকের টাকা বরাদ্দ দিয়ে থাকে।পটুয়াখালী খলিসাখালী কৃষি উন্নয়ন কর্পেরশনের দুই কর্মকর্তা উপ- পরিচালক সারমিন জাহান ও উপ-সহকারী বিশ্বজিৎ এর বিরুদ্ধে লেবার ফান্ডের কোটি টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, পটুয়াখালীর খলিসাখালী কৃষি উন্নয়ন কর্পেরশন বিএডিসির উপ-সহকারী কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ প্রতিদিন ৫ জন শ্রমিক দিয়ে কাজ করিয়ে ১২ জন শ্রমিকের টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে। ৫ জন শ্রমিকের মধ্যে কেউ কেউ কাজ করছে ২০-২৫ বছর পর্যন্ত। এই পাচ জনকে মাসে বেতন দিচ্ছে ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা।

বাকি ১০ জন লোক নাম মাত্র তাহারা কোন দিন খলিসাখালী কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনে কাজে আসিনি। কিন্তু এদের প্রত্যেকের নামে ব্যাংক একাউন্ট খুলে চেক বিশ্বজিৎ নিজের হাতে রেখে দিয়েছে এবং সেই চেক দিয়ে বিশ্বজিৎ পুরান বাজার সোনালী ব্যাংক থেকে প্রতিমাসে টাকা উত্তোলন করে।

ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্বজিৎ বিভিন্ন নামে চেক জমা দিয়ে কোন মাসে ২ লাক্ষ টাকা আবার কোন মাসে ২ লাক্ষ ২০ হাজার টাকা উত্তলন করছে। এভাবে প্রায় ২ কোটি টাকা উত্তোলন করে হাতিয়ে নিচ্ছে উপসহকারী বিশ্বজিৎ।যুগান্তরে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এভাবেই ২০-২৫ বছর পর্যন্ত পর্যায় ক্রমে যিনি এসেছেন তিনি খেয়ে নিচ্ছেন এই লেবার ফান্ডের কোটি কোটি টাকা।

দিন মজুর আনসার বলেন, আমি ২০০৭ সাল থেকে এখানে কাজ করি।বিশ্বজিৎ প্রতি মাসে আমার কাছ থেকে বেলাং চেক নিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে আমার হাতে ৭ হাজার টাকা দেয়।

আমার মোবাইলে ১৩ হাজার পাঁচশত টাকার মেসেজ আসে। কিছু বলতে গেলে কাজে আসতে নিষেধ করে। সুষ্ঠু তদন্ত করে এটা সমাধান চাচ্ছেন এই দিন মজুর। আরেক দিন মজুর আলমগীর মৃধা বলেন,আমি কোন দিনই বিএডিসিতে কাজ করিনি। আমাকে লেবার বানিয়ে সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট করে চেক বিশ্বজিৎ নিয়ে যায় এবং সেই চেক দিয়ে প্রতিমাসে বিশ্বজিৎ টাকা তুলে।

আমাকে মাঝে মধ্যে কিছু দেয়। স্থানীয় ইউপি সদস্য রেজাউল করিম বলেন,হাজিরা খাতায় ১৫ জন লেবার। কিন্তু মাঠে কাজ করে ৫ জন। ২০ বছর যাবত এভাবেই চলছে। সরকার লেবারকে টাকা দিচ্ছে, সেই টাকা বিশ্বজিৎ কৌশলে খেয়ে নিচ্ছে। ইউপি সদস্য আরো বলেন, বিশ্বজিৎ এখানে চাকুরী করে এখানে টোলের পাসে ৫০ লাখ টাকার জমি কিনেছে।

এটার তদন্ত হওয়ার দরকার এতো টাকা সে কোথায় পেলো। উপসহকারী বিশ্বজিৎদের কাছে যুগান্তর জানতে চাইলে ৫ জন লেবার দিয়ে কাজ করিয়ে ১৫ জন লেবারের টাকা কোথায় যায় এই প্রশ্নে উত্তরে তিনি বলেন,এই টাকা দিয়ে অফিস পরিচালনা করতে হয়।

সরকার জুলাই মাস থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অফিস খরচ একটি টাকাও দেয়নি।আপনেরা বলেন অফিস কিভাবে চেলে।এই টাকা থেকে সরকারকে প্রতি মাসে টাকা দিতে হচ্ছে। এই বছর ৫৭ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা টার্গেট দিয়েছে সরকার।

সেই টার্গেট লেবার ফান্ডের টাকা দিয়ে পুরন করতে হয়। এখানে যা কিছু হয় অফিস প্রধানের নির্দেশ মোতাবেক হয় আপনারা তার সাথে কথা বলেন। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন উপ- পরিচালক সারমিন জাহান বলেন,এখানে মাসিক ছেল আছে ২০ হাজার টাকা কিন্তু বাৎসরিক টার্গেট দেওয়া আছে ৫৭ লাখ টাকা তাই লেবার ফান্ডের টাকা আমরা এভাবে ক্যাশ করে সরকারের ফান্ডে জমা দেই। এভাবে নিয়ম আছে কিনা জানতে চাইলে এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে বলেন,আমি আপনাদের তথ্য দিতে রাজি না।

অনিয়ম দুর্নীতির দায় স্বীকার করে বলেন, অভিযোগ থাকলে কর্তৃপক্ষের কাছে করেন আমার কোন সমস্যা নেই। আমি জবাব কর্তৃপক্ষের কাছে দিব।

এ বিষয় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক বলেন, বিএডিসি উপ-পরিচালকের কার্যালয় আমরা যে অভিযোগ পেয়েছি এ বিষয় তদন্ত করা হবে এবং তদন্ত অনুযায়ী আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।বিএডিসি বিভাগীয় কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে অবহিত করা হবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD